প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

আজাহারিয়া দাখিল মাদ্রাসায় আপনাদের স্বাগতম।

ঝালকাঠি জেলাধীন ঐতিহ্যবাহী কৃত্তিপাসা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের রমানাথপুর গ্রামে বসবাস করতেন প্রখ্যাত আলেমেদ্বীন হযরত মাওলানা আব্দুল কাদের সাহেব। তিনি ছারছিনা মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় তাহার নিজ গ্রামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তদানুযায় ১৯৮৫ সনে তাহার বাড়ি শরিফ বাড়ির মসজিদ সংলগ্ন একটি ফোরকানিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসাটি ১৯৮৭ সনে ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় রূপান্তরিত হয় এবং বেশ ছাত্রছাত্রী সমগম ঘটে এবং ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক সকল শ্রেণীর বই পেতে থাকেন।

এলাকার অনেক ইসলাম প্রিয় লোক যেমন শরীফ মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম জয়ন উদ্দিন শিকদার, মকবুল হোসেন হাং, হাতেম আলী খান, খাদেম হোসেন, আরজ আলী খন্দকার, মোহাম্মদ উল্লাহ খন্দকার, মোঃ সিদ্দিক সরদার সহ অনেক লোক মনে করলেন মাদ্রাসাটি দাখিল পর্যায়ে কিভাবে উন্নতি করা যায়। এলাকার সকলে হযরত মাওলানা শরীফ আব্দুল কাদের সাহেবের কাছে তাদের মতামত ব্যক্ত করায় তিনিও সম্মতি প্রদান করলেন। সে মতে ১৯৯০ সনে রমানাথপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান সংলগ্ন বেশনাই মল্লিক এর দিঘির পূর্ব পাড়ে দাখিল মাদ্রাসার জন্য উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে বাঁশ-খুঁটি এবং গোলপাতার ছানি দিয়ে আজকের মাদ্রাসাটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হয়।

আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানী ১৯৯১ সনের জানুয়ারি মাসে এলাকায় আসলেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আদর্শ সমাজ গড়ার কারিগর খান জনাব আলহাজ্ব সুলতান হোসেন। তিনি এলাকার জন্য উন্নয়নের অগ্রদূত হয়ে আবির্ভাব হলেন। তখন জনাব সিদ্দিকুর রহমান সরদার, শামসুর রহমান, মজনুর হোসেন খানসহ অনেক ইসলাম প্রিয় লোক জনাব সুলতান হোসেন খানের কাছে গিয়ে তাদের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটির সকল দায়িত্ব জনাব খান সাহেবকে নেওয়ার প্রস্তাব দিলেন, এবং মাদ্রাসাটির নাম তার পিতা মরহুম আজাহার আলী খান সাহেবের নাম অনুসারে আজাহারিয়া দাখিল মাদ্রাসা রাখার প্রস্তাব দিলে তিনি তাহা মেনে নিলেন। অতঃপর একসময়ের ভাইয়ের স্থান দিঘীরপাড় যে দীঘিতে ছিল চিতাবাগ, শিয়ালসহ নানা জীবজন্তু সেখানে ফুটে উঠলো দ্বীনের আলো।

জনাব খান সাহেব ১৯৯৪ সনে এই গোল পাতার ঘরকে একটি টিনের ঘর এবং একটি একতলা ভবন করে দিলেন। দাখিল স্তরের পড়ালেখা শুরু হল ধুম-ধাম। ১৯৯৭ সালে এলো নবম শ্রেণীর রেজিস্ট্রেশন করার অনুমতি এভাবে ২০০০ সাল পর্যন্ত জনাব খান সাহেব নিজস্ব অর্থায়নে চলতে থাকে মাদ্রাসার শিক্ষক বেতন সহ সকল কার্যক্রম।

আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি জনাব সুলতান হোসেন খান সাহেবের চেষ্টায় ২০০১ সালে মাদ্রাসাটি এমপিও ভুক্তি হয়।
বর্তমানে দুই একর ৩১ শতাংশ জমির উপর মাদ্রাসাটি একটি একতলা ভবন, একটি দিতলা ভবন এবং একটি ১৫০ ফুটের উপর টিনের শ্রেণী কক্ষ রয়েছে। খেলার মাঠ মনোরম পরিবেশ যেকোনো জায়গা থেকে উত্তম যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সুদক্ষ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা পাঠদান, সর্বোপরি মাদ্রাসাটি একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়েছে।